সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
গত ৮ জুন দিবাগত রাতে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার সুবন্দী এলাকায় একটি অজ্ঞাত নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত নারীর পরিচয় সনাক্ত করার জন্য র্যাব-১ আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় মৃতদেহের পরিচয় নিশ্চিত করে। সনাক্তকৃত ভিকটিমের নাম লাখি আক্তার (২৯), পিতা- মজিবর রহমান, মাতা-আসমা খাতুন, গ্রাম গোয়াইলবাড়ি (কোনাপাড়া),থানা সাভার ।
পরবর্তীতে বর্ণিত ঘটনায় ভিকটিমের পিতা ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানায় একটি মামলা রুজু করেন, যার নম্বর-২৯ তারিখ ১০/০৬/২০২১ ধারা- ৩০২/৩৪ দঃ বিঃ।
র্যাব-১ এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের গোয়েন্দা নজরদারীসহ ছায়া তদন্ত শুরু করে।
গত ১২ জুন র্যাব-১ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল জিএমপি গাজীপুর এর কাশিমপুর থানাা মাটি মসজিদ সাকিনস্থ জনৈক রাসেলের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত এজাহারনামীয় ১ নং আসামী মোঃ জুয়েল (৩০), ২ নং আসামী ২) মোঃ রফিক (৫৭) কে গ্রেফতার করা হয় এবং এজহারনামীয় ১ নং আসামীর স্বীকারোক্তি ও সনাক্তমতে হত্যার ঘটনায় জড়িত ৩ নং মোঃ বাচ্চু মিয়া (২৯) গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ভিকটিম লাখি আক্তার (২৯) এর হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ততা স্বীকার করে।
১৩ জুন র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত ১ নং আসামী মোঃ জুয়েল (৩০) ভিকটিম লাখি আক্তারের ১ম স্বামী। সে একজন মাদকসেবী এবং চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিল। এছাড়াও সে বিভিন্ন সময় ভিকটিমের উপর শারীরিক নির্যাতন চালাত।
পরবর্তীতে বিগত ৪ বছর পূর্বে ভিকটিমের সাথে ধৃত আসামীর তালাক হয়। তালাকের পরেও সে ভিকটিমের বাসায় গিয়ে ভিকটিমকে পুনরায় স্ত্রী হিসেবে নিতে চায়। পরিবারের কেউ ভিকটিমের সাথে ধৃত আসামীর পুনরায় বিয়ে দিতে রাজি না হলে সে ভিকটিমকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে গত ২ মে জনৈক সিঙ্গাপুর প্রবাসীর সাথে ভিকটিমের বিয়ে হয়। ভিকটিমের পুনরায় বিয়ের কথা জানতে পেরে সে ভিকটিমের উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং ভিকটিমকে তার ২য় স্বামীর সাথে সংসার করতে দিবে না বলে জানায়। পরবর্তীতে গত ৮ মে ধৃত ১ নং আসামী ধৃত ৩ নং আসামী মোঃ বাচ্চু মিয়ার প্ররোচনায় ভিকটিম লাখি আক্তারকে কৌশলে আশুলিয়া থানার সুবন্দী এলাকাস্থ আসামীদের বাড়ির উত্তর পার্শ্বে কাঠের বাগানের ভিতর নিয়ে যায় এবং পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বলে আসামী স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।